প্রতিষ্ঠানের পটভূমি


    এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালে এর যাত্রা শুরু করে অত্র এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী জনদরদী মানুষ দ্বারা তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সহযোগীতায় সেই সময় এলাকার কিছু ডিগ্রী পাশ মানুষ এর হাল ধরার জন্য উনাদের পাশে দাঁড়ান, যাতাহারা বাজারের প্রাণকেন্দ্রে জমি ক্রয়, ছাত্রী কালেকশন, কক্ষ নির্মাণ থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম একটি কমিটির নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেন মাত্র ১০ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে জুনিয়ার স্কুল এবং ১৯৯৫ সালে মাত্র ০৭ (সাত) জন ছাত্রী নিয়ে ৯ম শ্রেণীর যাত্রা, কারিতাস এনজিওর মাধ্যমে নিজস্ব জমিতে পুকুর খনন করে উক্ত মটি দিয়ে মাঠ ভরাট করে বিদ্যালয়টির পূর্ণতা আছে। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের DD ম্যাডাম শ্রদ্ধেয় সিরাজুম মুনিরা পরিদর্শনে এসে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করে একঝলক তরুন শিক্ষাকে উৎসাহ প্রদান করেন। বিদ্যালয়টি ০২/১০/২০০১ ইং সালে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত একসাথে এমপিও ভূক্তি অর্জন করে।





       বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য এস এম সি সহ পিটিএ কমিটি দিয়ে সুন্দর ভাবে পরিচালিত হতে থাকে। ২০১০ সালে প্রথম বার জেএসসি পরীক্ষা শুরু হলে উক্ত পরীক্ষায় নিশাথ আঞ্জুম নামে এক শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে স্কলারশীপ অর্জন করে বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জল করে, সেই থেকে করনা মহামারী অদ্যবধি বিভিন্ন বছর একাধিক শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে বিদ্যালয়টির মুখ উজ্জল করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলাতে ফলাফলে প্রতিযোগীতা করে সকলের নজর কাড়ে। জেএসসি ও এসএসসি তে বহু শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ অর্জন করে তারা দেশের নামকরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সফলতার সাথে বিচরন করছে। নিজস্ব অর্থায়নে ১টি দ্বিতল ভবন ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় সামান্য প্রাচীর ও ২০২০ সালে শিক্ষা প্রকৌশলীর মাধ্যমে ৪ তলা ভিত্তি স্থাপন সহ ১ তলা সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৬টি শ্রেণীকক্ষ ১টি বঙ্গবন্ধু কর্নার, ১টি বিজ্ঞানাগারসহ মোট ১২ টি কক্ষ আছে। প্রতিষ্টানে ১১ জন শিক্ষক ৬ জন কর্মচারীসহ ১ জন RT শিক্ষক দিয়ে মোট ১৮ জন কর্মরত আছে। ২০২৩ সালে ভর্তিবহি অনুসারে এর শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৭৯ জন প্রতিবছর জাতীয় দিবস, অভিভাবক সমাবেশ, মা দিবস, শিক্ষাসফর সহ পাঠ্য ক্রমিক কার্যাবলী, গার্লস গাইড সবকিছু আন্তরিকতার সাথে পালিত হয়ে আসছে।